জন্ডিস কেন হয় এর প্রতিকার কি
জন্ডিস এই রোগটা কম বেশি সবার হয়ে থাকে। তবে এটা ছোট বাচ্চাদের বেশি হয়। জন্মের পর ছোট বাচ্চারা জন্ডিসে আক্রান্ত বেশি হয়। আমাদের দেশে দুই ঋতুতে জন্ডিস বেশি হয়। গ্রীষ্ম ও বর্ষা ঋতুতে। এই জন্ডিস হচ্ছে পানিবাহিত রোগ। এই জন্ডিস রোগের সাথে মানুষ অনেক আগে থেকেই পরিচিত। জন্ডিস সত্যিকার অর্থে কোন রোগই নয়। তাও এই জন্ডিস এ প্রতিবছর অনেক শিশু মারা যায়।
আমাদের শরিরে বিলিরুবিন নামে একটি উপাদান আছে। এই বিলিরুবিন যখন শরিরে বেড়ে যায় তখন আমাদের শরিরে জন্ডিস দেখা যায়। বিলিরুবিনটাই হচ্ছে জন্ডিস এই বিলিরুবিন বেড়ে গেলে জন্ডিস আর বিলিরুবিন কম হলে জন্ডিস না। আমাদের বাংলাদেশের জন্ডিসের প্রধান কারণ হচ্ছে হেপাটাইটিস। হেপাটাইটিস ও হেপাটিইটিস ই হচ্ছে পানিবাহিত রোগ। এখন আমরা সবাই কিভাবে বুঝবো যে জন্ডিস হয়েছে।
জন্ডিস হলে চোখ হলুদ হবে, প্রসাবের রং হলুদ হবে। আবার বমি বমি ভাব হবে। খাবারে লবণ বেশি মনে হবে।অনেকের পেটে ব্যাথাও হয়। চুলকানি, পায়খানার রং সাদা বা ফ্যাকাশে, জ্বর জ্বর ভাব, শরির অনেক দুর্বল লাগা, অনেক সময় কালো পায়খানা বা রক্ত বমি হওয়া।পেটে পানি আসা বা শরিরের ওজন কমে যাওয়া। আবার অনেকের শরির ফুলে যায়।
এই লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন
যে আপনার জন্ডিস বা এই লক্ষণ যদি আপনার বাচ্চার মধ্য দেখেন তো দেরি না করে তাড়াতাড়ি
ডক্টরের কাছে যাবেন।
আগে থেকে যে সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে
আমরা আগে থেকেই যদি হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা নিই তাহলে
জন্ডিসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
সব সময় আমাদের পানি খাওয়ার সময় লক্ষ রাখতে হবে যেন যে পানিটা
খাচ্ছি সেটা যেন বিসুদ্ধ হয়। বিসুদ্ধ পানি খাইলে আমরা জন্ডিসের হাত থেকে রক্ষা পাবো।
আমাদের শরিরে জন্ডিস হইলে আমাদের বেশি বেশি ডাবের পানি
খাইতে হবে।
অনেকে আছে মদ, সিগারেট অর্থাৎ নেশা করে থাকে। যারা নেশা
করে তাদের শরিরে সবসময় জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই নেশা একেবারে পরিহার করা
লাগবে।
যদি কারো বাসায় লিভারের রোগী থাকে তাহলে খুব দ্রুত আগে
লিভারের ডক্টর দেখাতে হবে। আর লিভারের চর্বি সবসময় নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই