হাড় ক্ষয় কেন হয়
আমরা মানুষ তাই বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরিরের অনেক পরিবর্তন ঘটে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড় ক্ষয় সাধারণ একটি শারিরিক সমস্যা। আমাদের আশেপাশে অনেকেই আছে যাদের দেখা যায় হাটুতে ব্যাথা, কমড়ে ব্যাথা, হাতে ব্যাথা,পিঠে ব্যাথা এই সমস্যা এখন প্রায় প্রত্যেকটা মানুষের।
তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের এই সমস্যা বেশি। মানুষের যখন ৩০ বছর পাড় হয় তখন শরিরের মধ্য নানান সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্য এই হাড় ক্ষয় একটি। এই হাড়ক্ষয় হওয়ার আরেকটা কারণ হচ্ছে ভিটামিন ডি এর অভাব। আমাদের শরিরে হাড় ক্ষয় হলে অনেক সময় দেখা যায় অল্প আঘাতেই হাড় ভেঙে যায়। আর হাড় ক্ষয় হলে তা কেমনে বুঝবো বা কোন লক্ষণ দেখা গেলে বুঝবো আমাদের হাড়ক্ষয় হচ্ছে।
আমাদের মেয়েদের মাসিক এর আগে বা পরে অনেক সময় পুরা শরির ব্যাথা হয় বা কারো কারো কমড়ে ব্যাথা হয়। আমাদের শরিরে হাড়ের ক্ষয় সব হাড় বা জয়েন্টে হতে পারে। তবে বেশির ভাগ হাত, কমড়, হাটু, হাতের আঙুল এগুলাতে বেশি ক্ষয় হয়। অনেক সময় দেখা যায় আমরা কাজ করতে গিয়ে অনেকক্ষণ চেয়ার এ বসে আছি বা এক জায়গায় অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে আমাদের হাড় ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আমাদের মহিলাদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায় অনেক সময় এক জায়গায় বসে থাকতে থাকতে দাড়াতে নিলে হাটুতে কট করে একটা শব্দ হয়। এটাও কিন্তু হাড় ক্ষেয়ের একটা লক্ষণ। অনেক সময় আমাদের জয়েন্টের ফ্লেক্সিবিলির্টি কমে যায় আর তখন আমাদের হাড় বা জয়েন্ট নড়াচড়া করতে অসুবিধা হয়। মহিলাদের হ্ড় ক্ষয় বেশি হয় কারণ, মহিলাদের একটা বয়সের পর মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। তখন মেনোপজ শুরু হয়। এর ফলে ইস্ট্রোজেন এর ঘাড়তি হয়। তখন আমাদের শরিরে হাড়ক্ষয়ের ঝুকি বেড়ে যায়। এছাড়াও অতিরিক্ত পরিশ্রম করা, আবার ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন গ্রহণ না করা এগুলার জন্য আমাদের হাড় ক্ষয় বেশি হয়।
এই হাড় ক্ষয় থেকে কিভাবে সতর্ক থাকতে হবে বা কি করলে আমরা
হাড় ক্ষয় হওয়া থেকে বাচতে পারবো।
প্রথমত আমাদের সুষম খাদ্য খাইতে হবে। ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাইতে হবে। ডিম, মাছ শাকসবজি এগুলা বেশি বেশি খাইতে হবে।
হুটহাট যেন পড়ে না যান হাটার সময় সেদিকে আপনার খেয়াল রাখতে
হবে।
অনেকে ধূমপান বা মদপান করে থাকে এই ধূমপান বা মদপানের অভ্যাস থাকলে তা
পরিহার করতে হবে। কারণ ধূমপান স্বাস্ব্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। ধূমপানকরা ব্যক্তির তাড়াতাড়ি
হাড় ক্ষয় হয়।
প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট রোদে থাকতে হবে। কারণ রোদ থেকে
আমরা ভিটামিন ডি পায়। যা আমাদের হাড় ক্ষয় রোধ করবে। যদি সম্ভব হয় সকালের রোদে বসে থাকতে
পারেন।
মহিলাদের প্রতিদিন একগ্লাস করে দুধ খেতে হবে এতে ক্যালসিয়াম
তৈরি হবে এবং হাড় ক্ষয় হওয়া থেকে মুক্তি মিলবে।
আর এই সমস্যা গুলো হইলে অবশ্যই বসে না থেকে ডক্টরের কাছে
যাবেন। আরেক টা বিষয় যেটা আমাদের শরিরে ঔষধের মতো কাজ করে সেটা হলো ব্যয়াম ব্যায়াম
আমাদের শরিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।ব্যায়াম আমাদের হাড় ক্ষয় রোধ করে। তাই
ব্যায়াম আমাদের জন্য খুব জরুরি।এই নিয়ম মতো খাবার খাওয়া ও নিয়ম অনুযায়ি চলাফেরা করলে
আমরা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাবো ইনশাআল্লাহ।
কোন মন্তব্য নেই