দুই পুরুষ (উপন্যাস) পর্ব- ১
দুই পুরুষ
পর্ব-১
প্রকাশক- এম. এ ওয়াহেদ
প্রকাশনা
সেবা প্রকল্প- ‘কবিতাকণ্ঠ’ (একটি সাহিত্য সেবা মূলক পত্রিকা, শুধুমাত্র
কবিতার)
প্রথম প্রকাশ- একুশে বইমেলা ২০১০
প্রচ্ছদ- এম,
আব্দুল্লাহ আল মামুন
বর্ণ বিন্যাস- জান্নাতুল ফেরদৌস বেবী
মুদ্রণ- দ্যুতি
প্রিন্টিং প্রেস, বগুড়া।
মূল্য- ৮৫ টাকা।
উৎসর্গ
পিতা মাতার পরে যাকে সবচেয়ে বেশী ভালবাসি,
আমার আদরের ছোট বোন জান্নাতুল ফেরদৌস বেবীকে ।
কিছু
বলব
আমি মহাসমুদ্রের একটি বালি, জানি না আমাকে দিয়ে কি হবে? আমি একজন
বড় স্বার্থপর মানুষ, শুধু নিয়েছি আর নিয়েছি, আমার এই দেশকে কিছুই দিতে
পারি নি। দোয়া করবেন যেন বিশ্বাস ঘাতকতা না করি আমার এই দেশের সংগে । আমার
প্রথম উপন্যাস ‘লাভ’ তারপর ছােট গল্পের বই ‘প্রেমের ভৌতিক রূপ’ বের করলাম।
তার কিছু দিন পরেই একটি নাটক লিখেছি ‘প্রফেসর’ নামে। আমার পরিচালনায়
নাটকটির শুটিং সম্পন্ন হয় গত এপ্রিলে’০৯। সম্পাদনা করেছি ‘হলদে দুনিয়ার
হলুদ মানুষ’ নামে একটি ছােট গল্পের বই। এরপর আমার রচনা ও পরিচালনায় আরেকটি
নাটকের শুটিং সম্পন্ন হয় গত জানুয়ারীতে’১০, নাম দিয়েছি ‘কাশফুল’। এখন
সম্পাদনা করছি মাসিক ‘কবিতাকণ্ঠ’ এবং ত্রৈমাসিক ‘বাউণ্ডুলে’ পত্রিকা। বর্তমানে শর্টফিল্ম, ছোট নাটক নির্মাণ করছি। তা নিয়মিত রিলিজ হচ্ছে Channel M নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে এবং ফেসবুক পেজে। এসব কিছু
সফল ভাবে সম্পন্ন করার পিছনে একজনের হাত আছে, যার কৃতজ্ঞতা শিকার আমাকে
আজীবন করতেই হবে, তিনি হচ্ছেন আমার জন্মদাতা পিতা। এই উপন্যাসের কাহিনী
কাল্পনিক। কারাে জীবনের সাথে মিলে গেলে ক্ষমা করবেন।
এম, আব্দুল্লাহ
আল মামুন।
নিজের
যােগ্যতায় ডি সি হয়েছিলেন মিস্টার জাকির । তাঁর সময় কত যে অপরাধীদের
পিটিয়েছেন তার ঠিক নেই। চোর ডাকাত সহ ভাল মানুষ পর্যন্ত । তিনি ছিলেন খুব
রাগীত। আর মানুষকে পিটাতে তিনি খুব ভালবাসতেন। তাই তিনি বিভিন্ন অপরাধীদের
নিজের হাতেই পেটাতেন। মানুষ পেটাতে তিনি খুব তৃপ্তি পান। তখন তিনি প্রচুর
টাকা ইনকাম করেছিলেন। বলা যায় বাংলাদেশের প্রথম সারির ধ্বনি তখনকার তিনি।
টাকা ইনকামের সময় তিনি দেখতেন না কোনটা বৈধ আর কোনটা অবৈধ।
মিস্টার
জাকিরের প্রথম নেশা তার মেয়ে।
মেয়েই মিস্টার জাকিরের ধ্যান-জ্ঞান-স্বপ্ন।
মেয়েকে ভীষণ ভালবাসেন তিনি, মেয়ের এক চুল পরিমাণ সমস্যা হােক তিনি তা
চান না। মেয়ে যা চায় সংগে সংগে তা হয়ে যেত। মেয়ের জন্য তিনি বাহিরে
থাকেন না। মেয়েকে না দেখলে থাকতেপারেন না তিনি।
মিস্টার জাকির ছিলেন
দারুণ স্বার্থপর লােক, স্বার্থ হাসিলের জন্য যখন যা করা প্রয়ােজন তখন তিনি
তাই করেছেন। তবুও টাকা দরকার টাকা। তিনি টাকা চিনতেন খুব ভালভাবে। তিনি
বলতেন টাকাই সব বাঁকি সব মিথ্যে। টাকা আছে। সব আছে টাকা নেই কিছুই নেই। তাই
তিনি চোখ বন্ধ করে টাকা ইনকাম করতেন। টাকাটা কিভাবে আসে তা নিয়ে অত মাথা
ব্যথা নেই মিস্টার জাকিরের। তিনি বড় বড় ক্লাবের সদস্য ছিলেন। এ দেশের
প্রায় সব বড় বড় ক্লাবের তিনি সদস্য।
মিসেস জাকির, মানে সর্মা জাকির ।
সৰ্মা জাকির আগে বেশীর ভাগ সময় ইংরেজী কায়দায় চলা ফেরা করতেন। ইংরেজী
কায়দায় পার্টিতে যেতেন। ইংরেজদের মত পােষাক পড়তেন, বাহিরের দেশ থেকে
মার্কেট করে নিয়ে আসতেন, ঐ সমস্ত মার্কেটে মার্কেট করে সাচ্ছন্দ বােধ
করতেন।।
বললেন- এ দেশের বাজারতাে নােংরা। নােংরা বাজারে বাজার করতে আমার
খুব খারাপ লাগে। এ সমস্ত ডার্টি মার্কেট আমার মােটেও ভাল লাগে না। বাড়িতে
যখন পার্টি দিতেন তখন যত সাহেব-সুবােদের দাওয়াত করতেন। দেশি লােক যারা
আসতেন তাদের মধ্যে বেশীর ভাগই আধা বিলেতী ভাব।
6
তাছাড়াও
যারা আসততা সব উপরস্ত কর্মকর্তারা, নিচের পােস্টের ঠাই ছিল না মিসেস
জাকিরের পার্টিতে।
মিস্টার জাকিরের যা কিছু প্রতিষ্ঠা প্রতিপত্তি সব কিছুই
তার স্ত্রী সৰ্মা জাকিরের জন্যই। বলতে গেলে তিনি ডি সি হয়েছেন সর্মা
জাকিরের জন্যে। মিস্টার জাকির যখন ডি সি হয়েছেন, তখন থেকেই তিনি সাহিত্যের
সংগে জড়িয়ে গিয়েছিলেন।
গল্প উপন্যাস লিখলে আরাে সম্মান পাওয়া যায়।
অফিসে তাে আলাদা একটা সম্মান আছেই তারপরও বাড়তি ইজ্জত থাকলে ভালাে লাগে।
তিনি আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকতেন, বেশী সম্মান টম্মান
পেতে গেলে বিভিন্ন জায়গায় যুক্ত থাকতে হয়।
মিস্টার জাকির তাই হলেন।
সেখানে মাঝে মাঝে ফাংশান হয়। সেই ফাংশানে গান বাজনা নাচ, থিয়েটার হয়।
সেই ফাংশানের আগে সবাই এসে ধরে মিস্টার জাকির কে, বলে আপনার মেয়ের নাচ
হবেতাে ? সেবার যা বিউটিফুল নেচেছিল আপনার মেয়ে, এখনও ভুলতে পারি নি।
মিস্টার জাকিরের মেয়ের নাম শারমিন। ডাক নাম কচি ।
সমস্ত লােকের মুখে কচির
নাচের প্রশংসা। কেউ কেউ বাড়িতে এসে কচির নাচের প্রশংসা করে যায়। বলে কচি
একটা জিনিয়াস মিস্টার জাকির । দেখবেন ও একদিন ফেমাস হয়ে উঠবে।
মিসেস জাকির
বলেন, বরাবর ছােট বেলা থেকে ওর নাচের নেশা
আসলে খুব খােসামদ করতাে তােক।
সেটা মেয়ের নাচের জন্য খােসামােদ না, মিস্টার জাকিরের চাকরির জন্য
খােশামােদ তা বােঝা যেতাে না। কিন্তু বাইরের লােকের তাতে কার্যোদ্ধার হতাে।
কেউ চাকরিতে যদি প্রমােশন চায় তাে তাকে তার মেয়ের নাচের প্রশংসা করতে
হবে। এটাই ছিল নিয়ম। যখন সাহিত্য সম্মেলন হল, সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে
কচির জন্য গােড়া থেকে শেষ পর্যন্ত হাত তালি পেয়ে যেতাে। যারা মিস্টার
জাকিরের কৃপা প্রশাদ পাবার প্রত্যাশী তারা মিস্টার ও মিসেস জাকিরকে দেখিয়ে
দেখিয়ে হাত তালি দিতাে । তাতে কাজ হতাে । মিস্টার আর মিসেস জাকির তাদের
চিনে রাখতেন। ভবিষ্যতে তাদের চাকরির প্রমােশন হত আর যারা চাকরি করত না তারা
রাস্তায় দেখা হলে সালাম দিত।
7
মিসেস
জাকির কোথাও গেলে কত যে সালাম পেতাে তার ঠিক নেই। তিনি চিনতে পারতেন না।
তারা জিজ্ঞেস করতাে, আমায় চিনতে পেরেছেন তাে ?
মিসেস জাকির না চেনবার মতাে
করে মুখের ভঙ্গি করতেন, তারা বলতেন সেই দিন আপনার মেয়ে কচি নেচেছিল আপনি
তারই মা -
বড় কৃতার্থ হয়ে যেতেন মিসেস জাকির ।
আসলে সবাই যেনে গিয়েছিল
যে কার্য সিদ্ধি পেতে কিংবা চাকরি পেতে গেলে মেয়ের প্রশংসা করতে হবে।
তাহলেই বস খুশি হবেন, মিস্টার জাকির হলেন বস, যাকে খুশি করতে পারলে একটা
ছােট খাটো কিংবা বড় গােছের একটা চাকরি পাওয়া যায়।
কিন্তু হঠাৎ মিস্টার
জাকিরের সাহিত্য করার ইচ্ছে হলাে । শুধু ডি সি হয়ে তিনি ঠিক তুষ্ট হতে
পারছিলেন না। সাহিত্যিক হবার বাসনা তার ছােট বেলা থেকে, সেটা এতােকাল পূর্ণ
হয় নি। এবার চাকরিতে পাকা হয়ে বসে তিনি খাতির মর্যাদা সব পেয়েছেন।
কিন্তু যাকে বলে যশ সেটা তার কপালে এখনাে জোটে নি।
তিনি ভাবলেন ওটা চাই।
সাহিত্যিক হতে গেলে খবরের কাগজের লােকের সংগে পরিচয় থাকা চাই, খবরের
কাগজের লোেকদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় চাকরি পাবার পর থেকেই ছিল। তারা তার
অফিসে আসতাে। রিপাের্ট করার জন্য তার সহায়তা দরকার ।
একদিন হুমায়ুন
প্রামানিক এলাে কিছু খবর নিতে।
খবরের কাগজের লােক এলে ডি সি সাহেব তাদের
একটু বেশী খাতির করতেন। কারণ তিনি জানতেন খবরের কাগজ প্যারালেল গভর্ণমেন্ট।
তারা ইচ্ছে করলে দেশের মিনিস্ট্রি বদলাতে পারে। ইচ্ছে করলে পার্টিরও ক্ষতি
করতে পারে। গভার্মেন্টকেও নাস্তা নাবুদ করতে পারে।
সেদিন হুমায়ুন
প্রামাণিক আসতেই তিনি বললেন, আমি একটা উপন্যাস লিখেছি হুমায়ুন বাবু।
হুমায়ুন বাবু ত শুনে থ। বললেন, উপন্যাস লিখেছেন আপনি?
মিস্টার জাকির
বললেন, সাহিত্যের উপর আমার চীরকালের ঝোঁক। ছােট বেলা থেকে আমি সাহিত্যিক
হব, এই ছিল আমার এ্যম্বিশন, কিন্তু সাহিত্যক হতে গিয়ে হয়ে গেলাম ডি সি।
ডি সি হবার পর আর সাহিত্য করার সময়
8
পেলাম
না। কিন্তু বাড়িতে বসে রাত জেগে আমি উপন্যাস লিখেছি কেবল, কেউ তা জানতে
পারে নি।
- কত দিন লাগল লিখতে ?
- মিস্টার জাকির বললেন, তা প্রায় দশ বছর ।
- দশ বছর !
- তার বেশী হবে তাে কম হবে না।
অবাক হয়ে গেলেন হুমায়ুন। বললেন
তাহলে বইটা ছাপিয়ে ফেলুন।
মিস্টার জাকির এই জবাবটা চাইছিলেন। বললেন, আগে
কোন পত্রিকায় ছাপতে চাই আপনাদেরতাে একটা সাপ্তাহিক পত্রিকা আছে তারা
ছাপাবে না ?
হুমায়ুন প্রামাণিক বললেন, ছাপাবে না ? পেলে লুফে নেবে।
- সত্যি
বলছেন ?
সত্যি বলছি নাতাে মিথ্যে বলছি। একে আপনার লেখা, তার উপর আপনি দশ
বছর ধরে রাত জেগে জেগে উপন্যাস লিখেছেন। এ খবর যদি কোন সম্পাদক জানতে পারে
তাে একে বারে ঝাপিয়ে পরবে আপনার উপরে।
আপনি এটা কাউকে দিবেন না । ও আমাদের
কাগজে আমি ছাপাব। আমি নিজে আপনাকে কথা দিচ্ছি।
মিস্টার জাকিরের তবুও
সন্দেহ হল। বললেন একটা কথা কিন্তু তার আগে বলে রাখি । যদি পড়ে খারাপ লাগে
তাহলে যেন না ছাপায় আর যদি সত্যিই ভাল লাগে তাহলেই যেন ছাপায়।
হুমায়ুন
সাহেব বললেন, ভালাে লাগতে বাধ্য। সে দিন মিটিংএ যে লেকচারটা আপনি দিয়ে
ছিলেন তা শুনেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম সাহিত্য সম্বন্ধে আপনার কত জ্ঞান ?
আপনি নির্ভয়ে কপিটা আমাকে দিতে পারেন। আমি কাগজে ছাপিয়ে দিব আপনার
পুরােটা লেখা হয়েছে তাে ?
- মিস্টার জাকির বললেন, হ্যাঁ পুরাে হয়ে গেছে
-
তাহলে আজ সন্ধা বেলাতেই আমাকে লেখাটা দিয়ে দিন। আমি রাত জেগে পড়ে নেব।
সেই দিনই জাকির সাহেব পাণ্ডুলিপিটা হুমায়ুন বাবুকে দিয়ে দিলেন, হুমায়ুন
বাবু জানতেন যে লেখাটা তত ভালাে হবে না। তবুও যদি কোন রকমে তাদের কাগজে
ছাপানাে যায়, তাহলে তার মাইনে বেড়ে যাবে।
সেই উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি নিয়ে
তিনি কাগজের সম্পাদককে ধরলেন। বললেন এটা যে কোন রকমে ছেপে দিনতাে আমার
ব্যক্তিগত উপকার হয়।
9
সম্পাদক
জিজ্ঞেস করলেন , উনি কে ?
হুমায়ুন বাবু বললেন, ডি সি সাহেব, ওনার লেখা
যদি ছাপেনতাে আমাদের পেপারেরও খুব ভালাে হবে। ওনার হাতে অনেক ক্ষমতা।
সম্পাদক শেষ পর্যন্ত ছেপে ছিলেন। তারপর বিজ্ঞাপনেও অনেক কিছু প্রশংসা করা
হয়েছিল।
মিস্টার জাকির অনেক খুশি। তিনি ডি সি পাস এখন থেকে হয়ে গেলেন
সাহিত্যিক।
কিন্তু বইতে লেখলেন, সাপ্তাহিক কাগজে ছাপাও হলাে, কিন্তু বই ? বই
ছাপাবে কে ? তিনি তখন বই বের করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরলেন। তিনি একদিন মনে
মনে ফন্দি আটলেন এবং একজন প্রকাশকের কাছে গিয়ে হাজির হলেন বললেন, আপনি
আমার এই উপন্যাসটা বই হিসেবে ছাপাবেন ?
প্রকাশক নিজেও সাহিত্য টাহিত্য
করেন। ডি সি দেখে সম্মান করে না এমন লােক কে আছে। বেশ খাতির করলেন, চা
খাওয়ালেন।
বললেন আপনার উপন্যাসের নাম কি যেন ?
কঠিন মানুষ' কাগজে ছাপার
সময় অনেক নাম হয়েছিল।
প্রকাশক বললেন - কাগজের দাম বড় বেড়ে গেছে, এখন
ছাপা মুশকিল। মিস্টার জাকির বললেন, এবার ঢাকায় আমাদের সাহিত্য সম্মেলন
বসছে, আপনাকে মূল সভাপতি করে দিতে পারি-
মিস্টার জাকিরের কথায় চিড়ে ভিজল,
প্রকাশক বললেন, তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই, কিন্তু বই ছাপাবার কাগজের
দামটা দিতে হবে আপনাকে।
তা তাই-ই-সই টাকাতাে অঢেল আছে মিস্টার জাকিরের,
কাগজের দাম টা সবই দিলেন তিনি। কঠিন মানুষ’ ঐতিহাসিক উপন্যাস। মূল সভাপতি
আগে অনেক বড় বড় সাহিত্যিক হয়েছেন এবার সেই পােস্টে গেলেন ‘কঠিন মানুষ’
উপন্যাসের প্রকাশক।
মিস্টার জাকিরের লেখা পড়ে তার বাড়িতে বহু লােক গিয়ে
হাজির। সবার মুখে ঐ এক কথা। সবাই-ই-বললেন নতুন প্রতিভাকে দেখতে এসেছি,
আপনাকে অভিনন্দন জানাতে এসেছি। বড় বড় সাহিত্যিকরা পত্র পাঠাতে লাগলেন এই
সুন্দর প্রতিভাকে, কিন্তু কেউ জানতে পারলাে না কিভাবে কঠিন মানুষ' লিখা,
কিভাবে সাপ্তাহিক কাগজে ধারাবাহিক ছাপানাে এবং কিভাবে বই প্রকাশ করা হল।
মাঝখান থেকে মিস্টার জাকিরের খ্যাতি হয়ে গেল। আসলে মিস্টার জাকিরের কোন
দিক থেকেই কোন সমস্যাই ছিল না। স্বামী-স্ত্রী আর-------
চলবে-------------
কোন মন্তব্য নেই