পুরুষরা জান্নাতে হুর পেলে নারীরা কি পাবে ?
পুরুষরা জান্নাতে হুর পেলে নারীরা কি পাবে।
আল্লাহ পাক বেহেসতে মানুষকে সবচেয়ে
বেশি আনন্দে রাখবেন। আর এই হুরও আনন্দের
একটি অংশ। এখানে হুর হচ্ছে মহিলা বাচক শব্দ, এমন কিছু সুন্দরি নারী যাদেরকে আবদ্ধ রাখা
হয়েছে জান্নাতের মধ্যে। পুরুষরা পাবে কিছু নারী আর নারীরা কি পাবে?
জান্নাতে
নারীরা স্বামী পাবে। আল্লাহ জান্নাতে কোন স্বামীহীন নারীকে রাখবেন না। কারণ স্বামীহীন
নারী মানে হচ্ছে অপুরনতা, বা কষ্টের। আর জান্নাত কষ্টের যায়গা নয়। এজন্য জান্নাতী নারীরা
স্বামী পাবে।
যে
সমস্ত নারীরা জান্নাতী কিন্তু স্বামী জান্নাতী নয়। যেমন হযরত আছিয়া (আ:), ওনার স্বামী
ফেরাউন। সে কিন্তু জান্নাতী নন। তাই বলেকি স্বামীহীন থাকবে জান্নাতে? আল্লাহ পাক ওনাকে
স্বামী দিবেন। অথবা যে সমস্ত নারীরা বিবাহীতাই না বা বিবাহের আগে মারা গেছে বা কম বয়েসে
মারা গেছে সে স্বামীহীন থাকবে না। দুনিয়াতে যে সমস্ত পুরুষ তাদের স্ত্রী জাহান্নামী
অথবা স্ত্রী নাই। যেমন নুহ (আ:) ওনার স্ত্রী জাহান্নামী, লুৎ (আ:) ওনার স্ত্রী জাহান্নামী।
ওনারাও পাবেন।
এখন
প্রশ্ন হচ্ছে কতজন হুর অথবা কতজন স্বামী পাবে? জান্নাতের মাঝে সবচেয়ে কম মরতবার যে
জান্নাতী থাকবে তার খেদমতের জন্য খাদেম থাকবে ৮০ হাজার জন এবং তাকে দেওয়া হবে ৭২ জন
সুন্দরী হুর, কোনো হাদীসে আছে ৭০ জন আবার কোনো হাদীসে আছে ৭২ জন, এখানে এসে অনেক নারীরা
বলেন স্বামী পাবে ৭২ জন হুর এটা ঠিক আছে তাহলে আমরা কি ৭২ জন স্বামী পাব?
উত্তর
হল- দুনিয়াতে একজন স্বামী ৪ জন স্ত্রী নিতে পারে একসাথে, কিন্ত স্ত্রীরা একাধিক স্বামী
নিতে পারবে না। কারণ আল্লাহ পাক মেয়েদেরকে দুনিয়াতে একাধীক স্বামী একসাথে গ্রহন করার
মানষিকতায় দেন নি। আর এই মানষিকতার ব্যতিক্রমে গিয়ে যে সমস্ত নারীরা একসাথে একাধীক
স্বামী চেয়েছে যেমন তাসলিমা নাসরিন চায়েছিল, এখন স্বামী ছাড়াই থাকতে হচ্ছে। যে বেশী
চেয়েছে সে একটাও পায় নি, এখন তার একটাও নাই যে কয়জন ছিল সবাই চলে গেছে। তেমনি একাধীক
স্বামীর মনমানষিকতা যেমন নারীদের দুনিয়াতে দেন নি। জান্নাতে গিয়েও দিবেন না ।
এই তথ্যটি যদি আপনার ভাল লেগে থাকে তাহলে সবাইকে জানানোর জন্য সেয়ার করতে ভুলবেন
না প্লিজ। যে কোন অভিমত, বা সমালোচনা করার থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই। ধন্যবাদ
সবাইকে ।
রচনা- এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন
কোন মন্তব্য নেই