কেন সাকিব আল হাসান শ্রমিকদের ৪ মাস বেতন দেন নি। জানুন আসল ঘটনা।

       আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। করোনার এই ক্রান্তিলগ্ন মুহূর্তে যখন সাধারণ মানুষ ক্ষুধার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ঠিক সেই মুহূর্তে যদি আমরা শুনতে পাই বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত ক্রিকেটার আমি উনাকে বিখ্যাত বলে ঘোষণা দিচ্ছি।

      সাকিব-আল-হাসান তিনি উনার কারখানার শ্রমিকদের ৪ মাস যাবত বেতন দিচ্ছেন না এবং এই মুহূর্তে যখন সারা বাংলাদেশে ঘোষণা দিয়েছে যাদের কোম্পানিতে শ্রমিক আছে তারা তাদের শ্রমিকদের বেতন দিয়ে অথবা ঈদ বোনাস দিয়ে যাতে বাড়িতে যেতে পারে।

  ঠিক সেই মুহূর্তে বাংলাদেশের একজন সচেতন মানুষ একজন ক্রিকেটার তিনি এ ধরনের কাজ কিভাবে করতে পারেন, এই সংবাদটি যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে তখন আসলে মানুষের ভেতরে একটু উদ্বেগের সৃষ্টি তৈরি হয়ে পড়ে।

  যদিও এই বিষয়টি নিয়ে সাকিব-আল-হাসান একটু সময় নিয়েছেন কথা বলতে কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাকিব-আল-হাসান আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন তিনি জানিয়েছেন সাতক্ষীরা ফার্মের শ্রমিকদের কেন বেতন দিচ্ছেন না আসলে সবচেয়ে বড় কথা হলো শাকিব আল হাসান জানেনিনা তার শ্রমিকদেরকে ৪ মাস বেতন দেয়া হয় না।

  হয়তো আমরা অনেকেই এই বিষয়টা জানি না যে এই কাকরার খামার শুধু সাকিব আল হাসানের নয় এ কাকা খাবারের পার্টনার রয়েছে।

 আমরা সকলেই জানি সাকিব আল হাসান খেলা থেকে কিছুদিনের জন্য বিদায় নিয়েছেন, তিনি উনার পরিবার নিয়ে একটু ব্যস্ত ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি আমেরিকায় অবস্থান করছেন আসলে উনার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যস্ততা আর একজন সেলিব্রিটি মানুষ আসলে সময়ের স্বল্পতার কারণে হয়তোবা তিনি উনারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সময় দিতে পারেন নি।

 উনি আমাদের ম্যানেজারের উপরই ছেড়ে দিয়েছিলেন কিন্তু ব্যবসা মন্দার কারণে অনেক পার্টনাররা শ্রমিকদের বেতন দিতে পারেনি, যে সিচুয়েশন আসলে শ্রমিকরাও বাধ্য হয়েছে ৪ মাস বেতন না পেয়ে থাকতে।

 আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি সেখানে প্রায় ৪মাস কাজ করে এগুলো যখন বেতন-ভাতা দিতে পারছিল না তখন আর মুহূর্তে আসলে শ্রমিকদেরই আসলে কি ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে বোঝানোর প্রয়োজন নেই কিন্তু সাকিব আল হাসানের রয়েছেন তাদের কিছু বিবেক কাটানোর প্রয়োজন ছিল যে আপনারা কি করছেন না করছেন এটা কেউই জানেনা কেউ জানতেও চায় না এ কাকা খাবারটা মূল ফটক হচ্ছে সাকিব-আল-হাসান এগ্রো ফার্ম এটা লাভ সেটা কিন্তু মানুষ জানতে চাইবে না মানুষ জানতে চাইবে এটা আমি সম্মান অসম্মান অথবা এটা নিয়ে যদি কোনো কথাবার্তা হয় শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নিয়ত কোন কথাবার্তা হয় পুরো ঘটনাটাই সাকিব আল হাসানের উপরে যাবে।

  আপনাদের পার্টনারদের উপর কিন্তু যাবেনা কিন্তু পার্টনারদের এই ধরনের দায়িত্বহীনতার কারণে আজকে সাকিব আল হাসানের মান-সম্মান কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে এটা হয়তো বা বলার অপেক্ষা রাখে না কারণ বাংলা অসহায় মানুষেরা এই করনার ক্রান্তিলগ্ন মুহূর্তে ক্ষুধার্থ বাংলার মানুষের পেটে খাবার নেই ।

যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে গেছে আমার বিশ্বাস হয়না বিশ্বাস ও শাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্মে শ্রমিকদের বেতন দেয়া হবে না তাও চার মাস এটা বিশ্বাসযোগ্য নয় যদি খাবারের উৎপাদন লভ্যাংশ নাও পাই তারপরও আমার মনে হয়না কোনো শ্রমিক বিনা বেতনে ওখানে চাকরি করতে হবে কারণ এমন পরিস্থিতি সাকিব আল হাসানের তৈরি হয়নি ।

 কারণ সাকিব-আল-হাসান বর্তমানে যদি আপনারা খেয়াল করে থাকেন সাকিব-আল-হাসান ফাউন্ডেশন নামে একটি ফাউন্ডেশন করে তুলেছেন লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা সেখানে একত্রিত করা হচ্ছে গরিব অসহায় মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার জন্য।

সাকিব আল হাসান কি তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের কে বেতন না দিয়ে থাকতে পারি শাকিব আল হাসান জায়গাটাতে সময় দিতে পারেনি ওই জায়গাতে বছর হয়তোবা চলে গেছে তিনি একবার গিয়ে দেখতে পারেনি হয়তোবা কারো উপর দায়িত্ব দিয়েছেন এবং যারা দায়িত্ব পেয়েছেন তারা দায়িত্বহীনতা করে নিয়েছেন এবং যেটার মাশুল এখন সাকিব আল হাসানের দিতে হবে এবং পরবর্তীতে এই ঘটনাটি যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে তখন সাকিব-আল-হাসান ঘোষণা করেছেন সাকিব আল হাসান নিজ উদ্যোগে নিজের পকেট থেকে সকল শ্রমিকের বেতন ভাতা ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছেন।

  তাছাড়া আপনারা এই ঘটনাটি শোনার পর একটু উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সাকিব আল হাসানের উপর একটু মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন তারা হয়তো বা বুঝতে পেরেছেন যে আসলে ঘটনাটি হয়েছে বন্ধুরা আসলে আমরা এই ক্লান্তিলগ্নে মুহূর্তে আমরা চাই আমাদের যারা উচ্চবিত্ত মানুষ আছে তারা যাতে সাধারণ মানুষের দিকে একটু নজর দেন একটু নজর দেন না হয় সাধারণ মানুষ অসহায় গরীব মানুষ করনি ক্লান্তিলগ্নে মুহূর্তে না খেয়ে মরে যাবে না কে বলেছে এই জন্যেই হয়তো কষ্ট পেয়েছেন সাকিব আল হাসানের প্রতি আজকের সংবাদপত্র আপনাদের কষ্টটা কিছুটা হলেও করতে পেরেছি বন্ধুরা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন